কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ ১৪ অক্টোবর রংপুর অঞ্চলের কৃষি বিষয়ক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। সফরের শুরুতে তিনি নীলফামারী জেলার ডোমারের আলুবীজ খামার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি খামারের বীজ উৎপাদন পরিস্থিতি, ১ হাজার ধারণ ক্ষমতা বিশিষ্ট হিমাগার ও টিস্যু কালচার ল্যাব সরে জমিনে পরিদর্শন করেন। আসন্ন আলু উৎপাদন মৌসুমে উন্নত মানের বীজ সরবরাহের জন্যে তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) সদর দপ্তরের যুগ্ম পরিচালক মান নিয়ন্ত্রণ কৃষিবিদ ড. মো. রেজাউল করিম খামারের আলু বীজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে বিএডিসি’র ১৭ হাজার হতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বীজআলু সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহের কারণে কৃষক পর্যায়ে হেক্টর প্রতি উৎপাদন ১৫ মেট্রিক টন হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১৯ মেট্রিন টনে উপনিত হয়েছে। তিনি আরও বলেন বিএডিসি টিস্যু কালচার প্রযুক্তির মাধ্যমে প্লান্টলেট, মিনি টিউবার, ব্রিডার আলুবীজ উৎপাদন করে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করছে। ডোমার ভিত্তিবীজ খামারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. এনামুল হক জানান, এ খামারে সনাতন পদ্ধতির পাশাপাশি টিস্যু কালচারের মাধ্যমে ভাইরাসমুক্ত বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন বিএডিসি’র চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুর রহমান, বিএডিসি রংপুরের যুগ্ম পরিচালক কৃষিবিদ মো. আসাদুর রহমান ও কৃষিবিদ মো. জাহেদুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ গোলাম মো. ইদ্রিস, কৃষি তথ্য সার্ভিস রংপুর অঞ্চলের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম, ডোমার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাফর ইকবাল প্রমুখ। বিকেলে কৃষি সচিব কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার সদ্য ঘোষিত ‘মুজিব-ইন্দিরা দাশিয়ারছড়া ইউনিয়ন’-এর কৃষি সম্ভাবনা সরে জমিনে পরিদর্শন করেন।